ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে সবচেয়ে বড় স্কোর গড়ে জিতলো মুশফিকুর রহিমের চিটাগং ভাইকিংস। ২৬ রানে হারলো খুলনা টাইটানসকে। এ নিয়ে চারটি ম্যাচে জিতলো তারা। অপরদিকে সাত ম্যাচে ষষ্ঠবারের তো হারলো খুলনা। মাত্র একটিতে জিতেছে তারা। ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান তাদের। আর চিটাগং দ্বিতীয় স্থানে।
আজ সন্ধ্যায় টস জিতে চিটাগংকে ব্যাট করতে পাঠায় খুলনা। শুরুতেই চিটাগংকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ। ১৭ বলে ৩৩ রান করে তিনি যে ধারার সূচনা করেছে পরবর্তীতে তাই বজায় রেখেছে মিডল অর্ডার। তিন নম্বরে নামা চট্টগ্রামের সন্তান ইয়াসির আলী করেছেন ৩৬ বলে ৫৪ রান। তার ইনিংসে ছিলো ৫ চার ও ৩ ছক্কা।
আগের ম্যাচে যেখানে থেমেছিলেন- মুশফিক যেন আজ শুরু করেছেন সেখান থেকেই। শুরু থেকেই স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছিল তার ব্যাটে। ৪১ রানের সময় মালিঙ্গাকে পরপর তিনটি চার মেরে হাফ সেঞ্চুরিতে পৌছান তিনি। ৩৩ বলে করেছেন ৫২।
এই তিন জনের গড়ে দিয়ে যাওয়া ভিতের ওপর রীতিমতো তলোয়াড় চালিয়েছেন লঙ্কান দাসুন শানাকা ও আফগান নাজিবুল্লাহ জাদরান। শেষ ২ ওভারে ৩৭ রান তুলেছেন দুজন। আর এতেই দুই শ’ ছাড়িয়ে যায় স্কোর। শানাকা ১৭ বলে ৪২ ও জাদরান ৫ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে চিটাগংয়ের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ২১৪ রান। বিপিএলের এবারের আসরের এখনো পযন্ত সবচেয়ে বড় স্কোর।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত তিন উইকটেরে পতনের পর ক্রিজে জুটি বাধেন ব্রেন্ডন টেইলর ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটির চার-ছক্কায় দ্রুত দলের সংগ্রহ বাড়তে থাকে। কিন্তু দলীয় ৮৬ রানে এ জুটির ভাঙন ধরান নাঈম হাসান। তবে মাহমুদুল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিং জারি ছিল। তিনি ২৫ বলে ফিফটি করেন। কিন্তু ডেলপোটের বলে ৫১ রানে সাজঘরে ফিরলে নিভে যায় খুলনার আশার প্রদীপ।
এরপর টেল এন্ডাররা কিছুটা লড়াই করলেও হার এড়াতে পারে না খুলনা। ২৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন মুশফিক।