ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশবাসীর মাথার চুল রফতানি হচ্ছে চীনে। তা বেচে রোজগার প্রায় ১ কোটি রুপি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে হিসাব দিলো দেশটির সরকার। গত পাঁচ বছরে পড়শি দেশে তারা ১ লাখ কেজি চুল বেচেছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার দেশের সংসদে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেখানে চুল বিক্রির টাকা থেকে রোজগারের হিসাব দেয় সে দেশের বাণিজ্য ও বস্ত্র দফতর। বলা হয়, গত পাঁচ বছরে চিনে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬১ কেজি চুল রফতানি করা হয়েছে। সেই বাবদ যে টাকা মিলেছে, এক কোটি রুপির কিছু বেশি।
কিন্তু কী এমন প্রয়োজন হলো যে, মোটা টাকা দিয়ে পাকিস্তানের কাছ থেকে চুল কিনছে চীন? তার জবাবও মিলেছে। জানা গেছে, গত কয়েক বছরে চীনে কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রির বাজার আরো বড় আকার ধারণ করেছে। ফ্যাশন এবং স্টাইল নিয়ে সচেতনতা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। নতুন ধরনের পরচুলা এবং রংবেরংয়ের হেয়ারব্যান্ড পরে সাজতে পছন্দ করেন তারা। উন্নতমানের ওই সব সামগ্রী তৈরি করতে সাধারণত মানুষের চুলই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু চাহিদার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে বেইজিং। তাই ইসলামাবাদের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। মোটা টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে চুল কিনছে।
পাকিস্তান সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে চীনে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯০১ কোজি চুল রফতানি করেছিল তারা। ২০১৪-’১৫ সালে রফতানি করা চুলের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ১৫০ কেজি। ২০১৫-’১৬ ও ২০১৭-’১৮ সালে যথাক্রমে ১ হাজার ৪১০ কেজি এবং ৭ হাজার কেজি চুল রফতানি করা হয়।
শুধুমাত্র চীনেই নয়, বিভিন্ন পার্লার ও স্যালোঁ থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কেজি দরে চুল কিনে তা আমেরিকা ও জাপানের মতো দেশেও রফতানি করে পাকিস্তান।