ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্যকে জগাখিচুড়ি আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অবৈধ হাসিনা সরকারের সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট একটা জগাখিচুড়ি। এই জগাখিচুড়ির ঐক্য থাকবে না, অচিরেই ভেঙে যাবে, এটা সবারই জানা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মধ্যে বিভক্তি শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিমধ্যে বিএনপি নেতারা ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাদের নিজেদের মধ্যেই ভাঙনের সুর। যাদের নিজের ঘরেই শত্রু, তাদের সঙ্গে শত্রুতা করার জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন আছে বলে কেউ মনে করে না।
বিএনপির সাংগঠনিক দূরাবস্থার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের কর্মকাণ্ডে নিজেদের এলোমেলো, নড়বড়ে ও লেজেগোবড়ে করে ফেলেছে। দলটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ভেঙে যাবে।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপি মহাসচিব আজ সকালে অভিযোগ করেছেন যে, সরকার নিরন্তরভাবে বিএনপিকে ভাঙার চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। এর আগেও যে রকম সফল হয়নি, এবারও হবে না। এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখুন, বিএনপির যা পারফরমেন্স আন্দোলনে, নির্বাচনে; তাতে সরকারের এমন কী প্রয়োজন আছে? বিএনপির এখন যে নড়বড়ে, এলোমেলো অবস্থা, এ রকম একটা দলকে ভেঙে দিতে হবে…।
বিএনপি ভাঙার চক্রান্ত চলছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ও নির্বাচনে বিএনপির যা পারফরমেন্স, তাতে দলটি ভাঙনের মুখে পড়তে পারে। তাদের ঘরোয়া কলহ-অন্তর্কোন্দলের জন্যই দলটি ভাঙবে।
ঢাকা উত্তর সিটির উপনির্বাচন কিংবা উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি না এলেও ভোট থেমে থাকবে না বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, উপজেলা নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তরে বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। নির্বাচন বসে থাকবে না।
জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি সংসদে না এলেও ইতিমধ্যে তো জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকায় চলে গেছে। এছাড়া মহাজোটের যারা সংসদে আছেন, তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—শক্ত বিরোধী দলের ভূমিকায় তারা থাকবেন। কাজেই বিরোধী দল থাকবেই। তারপরও যদি বিএনপি আসে তাহলে আরও কণ্ঠ যোগ হবে। অপজিশনের কণ্ঠ সোচ্চার হবে। সেটা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তো।
নৌকা প্রতীকে ভোট করা মহাজোট ও ১৪ দল কীভাবে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা রাখবে-এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা প্রতীক নিয়ে তারা নির্বাচন করেছে। দল তো ভিন্ন। কিন্তু তারা যদি এখন মনে করে, তারা অপজিশনের রোল প্লে করবে, এটা তাদের অপশন। দে ক্যান ডু ইট।