আদা একটি উদ্ভিদ মূল যা মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মসলাজাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরিতে, আচার, ওষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আদায় রয়েছে এমন ঔষধিগুণ যা একাধিক রোগব্যাধির মোকাবিলায় সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ৮০ ক্যালরি এনার্জি, ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৭৫ গ্রাম ফ্যাট, ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম আর ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। অর্থাৎ আদা মানেই একাধিক ঔষধিগুণসম্পন্ন সুষম সবজি।
ঠাণ্ডা ও গরমে খুসখুসে কাশি বা সর্দির সমস্যায় আদার রস খুবই কার্যকরী। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত যেকোনো সংক্রমণ ঠেকাতে আদার রস খুবই উপকারী। বমি বমি ভাব, শারীরিক অস্বস্তি ভাব কমাতে আদার কুচি মুখে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। হজমের সমস্যা, বুক জ্বালা বা গ্যাস অম্বলে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। শরীরের ব্যথাবেদনার উপশমে আদার প্রভাব আশ্চর্য রকমের। আদার রসে থাকা জিঞ্জেরল কাজ করে আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথার ওষুধের মতোই। এক বছর আগে একদল মার্কিন গবেষক দাবি করেন, আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যাও কমে যেতে পারে আদার রসে।
মিশিগান ইউনিভার্সিটির মার্কিন গবেষকদের মতে, ক্যান্সারের কোষগুলোর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি রুখে দিতে পারে আদার রস। মাইগ্রেনের সমস্যার উপশমে আদার প্রভাব আশ্চর্য রকমের। আদার অ্যান্টিহিস্টামাইন, অ্যান্টিনসিয়া উপাদান মাথাধরার অস্বস্তি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে সক্ষম। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা ক্যালরি চটজলদি বার্ন করতে সক্ষম। তা ছাড়া আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায়, মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। এর জন্য প্রতিদিন ৭৫ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম আদাই যথেষ্ট।