ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ টস জিতে ফিল্ডিং নেয়াটা যেন নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে চিটাগং ভাইকিংসের। গত ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ফলাফলটা ছিল ভয়াবহ। ৭২ রানের বড় ব্যবধানে রংপুর রাইডার্সের কাছে হারে তারা। আজও টস জিতে রাজশাহী কিংসকে ব্যাট করতে পাঠায় রংপুরের মতো তারাও বড় স্কোর গড়ে। ফলাফল হার। ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংস শেষ হয় ১৯১ রানে। সাত রানে হারে চিটাগং ভাইকিংস। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারের পরও শীর্ষস্থান অক্ষুন্ন রয়েছে তাদের।
রাজশাহীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে গিয়ে শুরুতেই ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টকে হারায় চিটাগং। সাত রানেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। কিন্তু আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ চার-ছক্কার ঝড় তুলে দ্রুত দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ইয়াসির আলি।
২২ বলে শেহজাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যখন ৪৯ রান, তখন রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১ রানের জন্য আফসোস রয়ে গেলো শেহজাদেরে। তবে তার সঙ্গী ইয়াসির কিন্তু ঠিকই হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। ৩৮ বলে সাতটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কায় ৫৮ রান করে আরাফাত সানির বলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ২০ বলে ২২ রান করে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে সাজঘরে ফিরেন। সিকান্দার রাজা ১৫ বলে ২৯ রান করেন।
শেষ ওভারে চিটাগংয়ের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। কিন্তু প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান রাজা।
এরপর টেলএন্ডারদের পক্ষে আর ’আনলাকি থার্টিন’কে লাকি করে জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সাত রানে হার মানতে হয় চিটাগংকে।
সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করে মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে সন্ধ্যায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাজশাহী কিংস। শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে তাদের। ৫ ওভারেই ৫০ রান তুলে নেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও জনসন চার্লস।
৫ বাউন্ডারির ২৬ রান তুলে বিদায় নেন সৌম্য। তবে অর্ধশত করেই সাজঘরে ফিরেন অপর ওপেনার চার্লস।
এরপর লোরি ইভান্স ৩৬ ও ক্রিশ্চিয়ান জোংকারের ৩৭ রানের সুবাদে ১৯৮ রানের বড় স্কোর গড়ে রাজশাহী।
চিটাগংয়ের খালেদ আহমেদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেন।