ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পণ্যবাহী নৌ-যানকে সুনামগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জে আসার পথে ২৬টি স্পটে চাঁদা দিতে হয় । এছাড়া পদে পদে রয়েছে বিভিন্ন রকম হয়রানি। চাঁদাবাজির পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন ও ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে । নৌপথে এসব অপরাধ বন্ধে নৌ-পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রোববার বিকলে ৪টায় নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে একটি পণ্যবাহী নৌ-যানকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আসতে কমপক্ষে ২৬টি স্পটে চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদা না দিলেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়। যেসব শ্রমিকদের ঘাম ও রক্ত পানি করা পয়সায় নৌ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বেতন ভাতা হয় তাদের সামনেই নৌ-শ্রমিকদের রক্ত পানির সাথে মিশে যায় আর নদীতে কর্মরত প্রশাসনিক নিরব দর্শকের মতো তাকিয়ে দেখে। শ্রমিকরা তাদের সাহায্য চাইলে নানা বাহানায় এড়িয়ে যান নদী পথে কর্মরতরা।
তিনি বলেন, নদীপথে ইজারাদার নামধারী সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন ও ডাকাতি বন্ধ না হলে নৌ-যান শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের বিকল্প থাকবে না। অবিলম্বে নদী পথে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ডাকাতি শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করা না হলে শ্রমিকদের কর্ম বিরতি পালনসহ সারাদেশে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে বাধ্য হবো। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি সরদার আলমগীর মাস্টারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমীক লীগের সহ-সভাপতি ও বিআইডব্লিউটিসির নেতা এসএম মনজুর আহাম্মেদ, বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাস্টার, জেলা যুব শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী লিটন প্রমুখ।