DMCA.com Protection Status
title="৭

হেলস-ভিলিয়ার্স ঝড় উড়িয়ে দিলো সাকিবদের

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ   দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ঝড়ে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে রংপুর। ভিলিয়ার্সের অনবদ্য সেঞ্চুরি ও হেলসের অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরিতে ঢাকা ডায়নামাইটসকে আট উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে।

এই জয়ে দশ ম্যাচে ছয় জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে উঠলো রংপুর রাইডার্স। আর নয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে নেমে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস।

 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সর্তকতার সাথে সূচনা করে ঢাকার দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও সুনীল নারাইন। রংপুরের বোলারদের নিযন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩১ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রান যোগ করেন জাজাই ও নারাইন। তবে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে জাজাই ১৭ ও নারাইন ২৮ রান করে ফিরেন।

এরপর ৫৪ রানের জুটি গড়েন রনি তালুকদার ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। রনি ছয়টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় ৩২ বলে ৫২ রান করে করেন। ১২ বলে চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৫ রান তুলে আউট হন সাকিব।

ব্যাট হাতে এ ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। আট বলে ১৪ রান করে ফিরেন তিনি। ১৪তম ওভারের মধ্যে রাসেলের বিদায়ের পরও আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। পাঁচটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় ২৩ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন। ফলে ছয় উইকেটে ১৮৬ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।

রংপুরের ফরহাদ রেজা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।

১৮৭ রানের টার্গেটে শুরুতে মহাবিপদে পড়ে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশোকে হারায়। গেইল এক ও রুশো শূন্যতে আউট হন।

দুটি উইকেটই নিয়েছেন ঢাকার হয়ে ক্যারিবীয় অ্যান্দ্রে রাসেল।

পাঁচ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বেকাদায় পড়ে যায় রংপুর। এখান থেকে দলকে টেনে তোলার কাজ করেন আরেক ওপেনার হেলস ও চার নম্বরে নামা মারকুটে খেলোয়াড় ডি ভিলিয়ার্স। শুরুর ধাক্কাটা ভুলে গিয়ে ঢাকার বোলারাদের উপর পাল্টা আক্রমণ চালান ডি ভিলিয়ার্স। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লাইন-লেন্থহীন হয়ে পড়েন ঢাকার বোলাররা। নিজের ২৪তম বলেই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ডি ভিলিয়ার্স। সতীর্থের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের মাঝে নিজের কারিশমা দেখিয়েছেন হেলসও। ৩২তম বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি।

শুধু ফিফটিতে থেমে থাকেনি এ জুটি। নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করার পণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাই-ই হয়েছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার অন্তিত মুহূর্তে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ভিলিয়ার্স। ৫০তম বলে তিন অংকে পা দেন তিনি।

ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরির সাথে হেলসের অপরাজিত ৮৫ রানে ১০ বল বাকি রেখেই দুর্দান্ত এক জয়ের স্বাদ নেয় রংপুর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৯ বল মোকাবেলা করে ১৮৫ রান যোগ করেন ভিলিয়ার্স ও হেলস।

আটটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৫৩ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান হেলস। আটটি বাউন্ডারি ও ছয়টি ছক্কায় ৫০ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন ভিলিয়ার্স।

ঢাকার রাসেল ৩০ রানে দুটি উইকেট শিকার করেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন রংপুরের ডি ভিলিয়ার্স।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!