ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আবার আওয়ামী লীগে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুলতান মো. মনসুর আহমেদ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং তার দল গণফোরামের অমতের মধ্যেই তার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে যাওয়ার খবর চাউর হয়ে যাওয়ার পর সোমবার রাতে জিজ্ঞাসায় তিনি নতুন ইঙ্গিত দেন।
সুলতান মনসুর বলেন, “আমি অন্য কোনো দলে জয়েন করি নাই। আমি কখনও আওয়ামী লীগ ছেড়ে আসিনি, বহিষ্কৃতও হইনি।”
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুলতান মনসুর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকও হয়েছিলেন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে সংস্কারপস্থি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে দলে অপাঙক্তেয় হওয়ার পর কামাল হোসেনের সঙ্গে ভেড়েন তিনি।
সুলতান মনসুর গণফোরামকে অস্বীকার করলেও দলটির নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলছেন, সুলতান মনসুর গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টেরও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য।
গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন এই নির্বাচনের আগে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়েছিলেন।
ওই জোটের হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনেস ভোটের লড়াইয়ে নামেন সুলতান মনসুর।
নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবির মধ্যেও সুলতান মনসুর জিতে যান। গণফোরাম দুটি আসনে এবং বিএনপি ছয়টি আসনে জয় পায়।
এই নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র অভিযোগ তোলার পর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তবে শপথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সুলতান মনসুর।
শপথ নিচ্ছেন কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “মানুষ কষ্ট করে শত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও আমাকে নির্বাচিত করেছে। জনগণের পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য আমি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেব। আমার ভূমিকাটা প্রো-পিপল হবে, ইতিবাচক হবে।”
তবে সুলতান মনসুরের বক্তব্য নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু এক বিবৃতিতে বলেছেন, শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্তেই বহাল রয়েছে তার দল।
সুলতান মনসুরের মতো মন্টুও এক সময় আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাদের নেতা কামাল হোসেনও ছিলেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির নেতা।
সুলতান মনসুর ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় নির্বাচনে কুলাউড়া আসনে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০১ সালে জোটগতভাবে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিনি।