ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে ভিয়েতনাম। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপক্ষে জাতিসংঘে ভোট দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছে দেশটি।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে এসব ব্যাখ্যা দেন বাংলাদেশে সফররত ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়েন কক ঝাং। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভিয়েতনাম সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে আরও কাছে থেকে কাজ করার কথা পুনঃব্যক্ত করেন তিনি। ভিয়েতমানের নীতি অনুযায়ী, তারা এমন কোনো ইস্যুতে সহমত হতে পারে না, যা কোনো সুনির্দিষ্ট দেশের বিপক্ষে যায়। তবে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভিয়েতনামের অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভিয়েতমানের সংশোধিত অবস্থানের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এখন থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় ভিয়েতনাম ৫০ হাজার ডলার সহযোগিতায় এবং ৫০ হাজার ডলার দুর্দশাগ্রস্তদের সহযোগিতা দেবে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ভিয়েতনামকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনের হাজারো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবন বাঁচিয়েছেন। মিয়ানমার যখনই নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে পারবে, বাংলাদেশ তখনই তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য তৈরি রয়েছে।
এ সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মত দেন আসিয়ানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ জোন তৈরির জন্য মিয়ানমারকে রাজি করানো যেতে পারে, যা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নিরাপত্তার অভয় তৈরি করবে এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আসিয়ানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য ভিয়েতনামকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসিয়ান সদস্যরা যাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করে। এ সংকটের সমাধান না হলে পুরো অঞ্চল নিরাপত্তা ও অস্থিতিশীলতার হুমকি মোকাবেলা করতে হবে, যা এখানকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে।