ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর, স্বার্থক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ইটিআই ভবনে ঢাকা উত্তর সিটির উপ নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, কয়েকদিন আগেই আপনারা একটা সুন্দর, স্বার্থক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছেন। একটি সরকার প্রতিষ্ঠার কাজ করেছেন। সেজন্য আপনাদেরকে প্রথমেই অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানাই। অনেক পরিশ্রম করে, প্রতিকূলতার, সমালোচনার এবং নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আপনারা নির্বাচনের উত্তরণ ঘটিয়েছেন। ফলে দেশ পরিচালনার জন্য একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা সিটির নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে এএনে তিনি বলেন, যারা এখন মেয়র বা কাউন্সিলর হবেন তারা এক বছর হাতে পাবেন। তারপর আবার ২০২০ সালের এপ্রিল, মে মাসের দিকে পুরো নির্বাচন হবে। সেদিনটা যাই থাক না কেনো সেটা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। সেই গুরুত্ব অনুসারে যেভাবে নির্বাচন করা দরকার, যেভাবে নির্বাচন করতে আমরা অভ্যস্ত এবং জাতিকে যেভাবে নির্বাচন উপহার দিয়েছেন আপনারা।
শুধু এই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, বিভিন্ন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে, জেলা পরিষদে, উপজেলা পরিষদে যেভাবে নিষ্ঠার সাথে নির্বাচনগুলো করেছেন সেভাবেই গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তার কারণ হলো- ঢাকা সিটিতে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।
সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে আপনারা বিভিন্নভাবে প্রশংসিত ও নন্দিত হয়েছেন। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক যারা ছিলেন তারা আপনাদের ব্যাপারে কোনো রকমের বিরুপ মন্তব্য করতে পারেন নি, করেন নি। আপনাদের মধ্যে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, ধৈর্য এবং সাহসিকতা ছিল। যে যাই বলুক না কেনো। অনেকে অনেক তীর্যক কথা বলবেন, অনেকে অনেক উপদেশমূলক কথা বলবেন, গম্ভীর গম্ভীর কথা বলবেন। সেখান থেকে যতটুকু আহরণ করা দরকার করবেন, প্রয়োগ করা দরকার করবেন। সবচেয়ে বড় কথা আপনারা নিজের মেধা, যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা, সাহস, নিরপেক্ষতা এবং নিজের যে আস্থা সেটা সব থেকে বড় কথা। সুতরাং কবিতা এবং গল্প দিয়ে আপনাদের পেট ভরানো যাবে না। আপনাদের নিজস্ব সত্ত্বা আছে, নিজস্ব যে দায়িত্ব আছে, নিজস্ব যে জ্ঞান আছে সেটাই প্রয়োগ করবেন।
মাঠে যারা আছেন তারা এই নির্বাচন কমিশনের আত্মার সাথে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আত্মিকভাবে এর সঙ্গে সম্পর্কিত। সুতরাং এখানে একজন টোকা দিলো, খোঁচা দিল নতুবা ধাক্কা দিলো তাতে আপনারা বিচলিত হবেন না। আপনাদের দায়িত্ব যেভাবে দায়িত্ব পালন করা দরকার সেভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।