DMCA.com Protection Status
title="৭

জামায়াত নিষিদ্ধে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা:শেখ হাসিনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের অবৈধ  প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর ছিল। এ দেশে গণহত্যা চালানো থেকে শুরু করে নারী ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা ধরনের অপরাধ করেছিল। জামায়াত নিষিদ্ধের মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। আশি আশা করি, কোর্টের রায় খুব শিগগিরই যদি হয়ে যায়, তাহলে জামায়াত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।

 

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের অপরাধের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। তবে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তাদের বিচার বন্ধ করে দেয়, তাদের ভোটের অধিকার দেয়, রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যেটা আমাদের সংবিধানে ছিল না। সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। তবে দল হিসেবে সক্রিয় রয়েছে। এখন তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার একটা মামলা কোর্টে রয়ে গেছে। এই মামলা রায় যতক্ষণ না হবে সেখানে বোধ হয় আমরা কোন কিছু করতে পারি না।

 

তারেক রহমানসহ দণ্ডিত পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকরের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা অপরাধী, মানুষ খুন করা থেকে শুরু করে যারা মানিলন্ডারিং করেছে, এতিমের অর্থ আত্মসাত করেছে, দুর্নীতি এ সমস্ত মামলায় যারা সাজাপ্রাপ্ত, যারা বিদেশে পালিয়ে আছে, পলাতক আসামি- তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের আলোচনা চলছে। আমি বিশ্বাস করি- আমরা তাদের ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে পারবো।

তিনি বলেন,গত নির্বাচনে জামায়াতকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা ন্যাক্কারজনক- তারা নিবন্ধিত না, সেই অবস্থাতেও তারা বিএনপির সঙ্গে জোট করে করে জামায়াত ইসলামী নামে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছে। জনগণকে ধন্যবাদ জানাই তারা জামায়াতকে কোনো ভোট দেয়নি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!