ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তিস্তার জল বা আসামের পরিস্থিতি নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ। কেননা আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বৃহস্পতিবার জার্মানি সফর শুরুর আগে ভারতের বাংলা দৈনিক ’আজকাল’ এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান বাংলাদেশের অবৈধ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো ভাল করতেই মন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে গিয়েছিলেন এই মন্ত্রী।
এ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে সফল বৈঠক হয়েছে বলেও আজকালকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন তিনি। বাংলাদেশের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক সব সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
তার বড় ভাই আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। এবার বার্ধক্যজনিত কারণে মুহিতের জায়গায় তার ছোট ভাই মোমেনকে প্রার্থী করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। সিলেট থেকে বিতর্কিত নির্বাচনে জিতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ দায়িত্ব পান জাতিসংঘের সাবেক প্রতিনিধি মোমেন।
কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেই নয়, তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মোমেনের।
শপথ নিয়েই মোমেন জানিয়েছিলেন, ভারত দিয়েই শুরু করবেন তার প্রথম বিদেশ সফর। প্রতিশ্রুতি রেখেছেন তিনি। গত সপ্তাহেই দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বিরোধী দলের মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রমুখের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়ে দেন, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই তার প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভারত সফরের সময় রোহিঙ্গা–সমস্যা নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতাও চালান বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উড়ে গেলেন মিউনিখ। সেখান থেকে আরব আমিরাতে যাবেন তারা। টানা সাত দিনের সফর। মোমেন জানান, ইউরোপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে জার্মানি সবচেয়ে বেশি আর্থিক সাহায্য করে বাংলাদেশকে। তাই চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে সেখানেই প্রথম যাচ্ছেন হাসিনা। বিশ্বের দরবারে আওয়ামী লীগের অসামান্য সাফল্যের কথা শোনাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
ভারত সফর প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ’উভয় দেশের সম্পর্ক খুবই ভাল। অনেকটা স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কের মতো। টুকটাক মতানৈক্য থাকলেও মিটে যায়।’
তিস্তার জল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি অতি সামান্য বিষয়। উভয় দেশই বিষয়টি মিটিয়ে নিতে সক্ষম।
পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ইত্যাদি রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ–ব্যবস্থার উন্নয়ন চায়। বিশেষ করে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায়।
এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ’এখন যোগাযোগের যুগ। বাংলাদেশ এর থেকে দূরে থাকতে পারে না। তাই ভারতের প্রান্তিক রাজ্যগুলির জন্য যোগাযোগের রাস্তা খুলে দিতে বাংলাদেশ সরকারের কোনও সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না।’