ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলা নিয়ে ভারত একের পর দোষ চাপিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের ওপর। তবে এমন ভয়াবহ হামলার পর থেকেই পাকিস্তান এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে।
এ নিয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারত ইসলামাবাদকে দোষারোপ করেছে। আর তারা যদি কোনো হামলা করে তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে। কিন্তু পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না। খবর ডন।
শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে দেশ ভাগ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারত এখনো দুই দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার বাস্তবতাকে মেনে নেয়নি।
তিনি বলেন, ভারত ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে আর আত্মরক্ষার কথা বলে তারা পরমাণু অস্ত্র বানিয়েছে।
এ সময় তিনি ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান নিয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ করেন।
এদিকে পুলওয়ামায় আত্মঘাতি বোমা হামলা নিয়ে আইএসপিআরের মহাপরিচালক জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, সীমান্ত রেখা বরাবর কয়েক ধাপে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত। আর হামলা হয়েছে সীমান্ত থেকে কয়েক মাইল ভেতরে।
জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, ভারতের এসব সেনাকে এড়িয়ে পাকিস্তানি সেনাদের সেখানে হামলার ঘটনা কতটা যৌক্তিক। এক্ষেত্রে ভারত তাদের সেনাবাহিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
ভারত যুদ্ধের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যুদ্ধ শুরুর চেষ্টা করছে কিন্তু আমরা তা চাচ্ছি না। আমরা শুধু আমাদের দেশকে রক্ষার চেষ্টা করছি যা আমাদের অধিকার।
তিনি হামলা হলে পাল্টা হামলার কথা জানিয়ে বলেন, তারা হামলা শুরু করলে বিস্মিত হবো না। কিন্তু পাল্টা জবাব পাওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত থাকবে আশা করি।
তিনি ভারতীয় সেবাবাহিনীকে সংঘাতে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাবেন না। সেনারা তাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মাতৃভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করবে।
এ সময় জেনারেল আসিফ গফুর ভারতকে সতর্ক করে বলেন, আমরা আশা করব ভারত সংলাপের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গ্রহণ করবে। আর সেটা না হলে পরিস্থিতি ভিন্নরকম হতে পারে।
এর আগে পুলওয়ামার হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত জুরে পাকিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় মোদি সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীকে হতাহতের ঘটনা নিয়ে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে ক্ষমতা প্রদান করেন।
এদিকে মোদি সরকার সেনাবাহিনীকে এমন প্রদানের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও বসে নেই।
বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে শেষে বিবৃতির মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণের ছাড়পত্র দেয়া হয়।
ভারতের যে কোনো হামলা অথবা অভিযান প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনীকে এমন ছাড়পত্র দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।