ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, একটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কোনো কথা অরাজনৈতিক অথবা মানবিকভাবে বিবেচনা করেছেন বর্তমান সরকার দল অথবা সরকারদলীয় মাননীয় সাধারণ সম্পাদক, এরকম আমার মনে পড়ে না। সাড়ে তিন মাস আগে বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের নির্দেশে ভর্তি হওয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে নেয়া হলো। তারপর থেকে রক্ত পরীক্ষা, নিয়মিত প্রেসার চেক, নিয়মিত থেরাপি কিছুই দেয়া হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব ইতিমধ্যে এই বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। ৭৩ বছরের একজন বয়স্ক নারী, তিনি ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার ব্যাপারে যে নিয়মগুলো প্রতিপালন করার কথা সেগুলো করা হয়নি। বিষয়টি কতো অমানবিক। একটি রাজনৈতিক দলের নেতা সে তার দৈনন্দিন কাজের মতো যদি বলে যান, অমানবিক দিকে এটাকে বিবেচনায় নিয়ে পরিহাস করতে থাকেন। সেটির উত্তর দেয়ার ভাষা আমার মধ্যে থাকে না। তবে আমাদের মধ্যে একটি আর্শ্চায্য জনক একটি প্রতিক্রিয়া কাজ করে, আমরা বিবৃত হই, লজ্জিত হই।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মামলা যেহেতু রাজনৈতিক মামলা তাই মুক্তির ব্যাপার যদি বলা হয়, যারাই জেলে থেকেছেন রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক নেতা হোক কেন তাদের মুক্তির একটাই উপায় হচ্ছে আইন। যদি এই আইন না থাকে আইন যদি নিয়ন্ত্রিত হয় সেখানে কি করা যায়। কারো সাজা হওয়ার সাথে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি নিতান্তই মানুষের একটি অধিকার। তবে যারা কারারুদ্ধ তাদের প্রতিকারের বিধানটা হিসেব করতে হয়।
কারা কতৃপক্ষ যখন চিকিৎসা দিতে অনীহা দেখায় তখন আমরা হাইকোর্টে গেলাম। আর সেখানকার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে পাঠানো হয়। শুধু তাই নয় তাকে চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখে যখন জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হয় হাইকোর্টকে কমপ্লাই না করেই নেয়া হয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলেই আমাদের উচ্চ আদালতে যেতে হয়েছে। যদি মুক্তরাজনীতি করার পরিবেশ থাকতো তাহলে রাজনৈতিক আন্দোলন করা যেতো, প্রজাতন্ত্রের যাদের আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, সেটি যদি তারা করতে পারতো তাহলে আমরা রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে পারতাম। আর একটি হচ্ছে আইনকে যদি সরকার নিয়ন্ত্রন না করে, স্বাভাবিক গতিতে চলতে দেয় তবে দেশনেতী বেগম জিয়াকে মুক্ত করা মাত্র ১৫ দিনের ব্যাপার।