ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগের রাতে ভোটবাক্সে ব্যালট ভরে দেওয়া কিংবা ভোটের দিন ও ভোটের পর ভোট গণনার সময় কোনোরকম অনিয়ম আর মেনে নেওয়া হবে না। এধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
আজ বুধবার উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
এ সময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সর্বোপরি একটি আইনানুগ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমেই আমাদের নির্বাচন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হয়, সেহেতু কোনো কারণে যদি এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তার সব দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপরেই পরে।’
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য যদি নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা চেয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগ সহযোগিতা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এটা সংবিধানেই বলা আছে।’
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চায়।’ এ ছাড়া নির্বাচনে কোনো রকম শৈথিল্য বা পক্ষপাতিত্ব একদমই মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল আহাদ, পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলদারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে সুনামগঞ্জের ১০ উপজেলায় আগামী ১০ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।