ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সংবিধানের ১৩শ সংশোধনী(তত্বাবধায়ক সরকার) বাতিলকারী সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কশিনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন,বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সামাজিক অসুস্থতা হলো মিথ্যা কথা বলা। এটি পরিত্যাগ করতে পারলে মানুষের ৫০ ভাগ আত্মিক উন্নয়ন ঘটবে। মিথ্যা, পরচর্চা ও অহংকার পরিহার এবং পরোপকার করার মাধ্যমে মানুষের আত্মিক উন্নয়ন সম্ভব।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ’মানুষের দৈহিক ও আত্মিক উন্নয়নে আমাদের করণী’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওয়ে প্রধান কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ’মানুষের আত্মিক উন্নয়নের জন্য আল্লাহপাক নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টির উম্মত। আমাদের সামনে মডেল ও আদর্শ হচ্ছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী (মুহাম্মদ সা.)।’ তিনি বলেন, ’আত্মিক উন্নয়ন না হলে ভালো মানুষ হওয়া যাবে না। আর আত্মিক উন্নয়নের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিক্ষা সাধারণ জনগণের নিকট পৌঁছে দিতে পারলেই সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ফজলে কবীর বলেন, ’মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কোন অর্থে মানুষ সৃষ্টির সেরা? আল্লাহ মানুষকে ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, দোষ-গুণ ও বিচার-বিবেচনা করার ক্ষমতা দিয়েছেন যা অন্য কোনো প্রাণিকে দেননি। তাই সর্বক্ষেত্রে মানুষকে সর্বোৎকৃষ্ট হতে হবে।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ’মানুষকে সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই দ্বীনি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। তাই আলেম-ওলামাদের আত্মিক উন্নয়ন ঘটানো গেলেই তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মা’রূপ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালাম, ডা. ফখরুল ইসলাম, ড. ঈসা শাহেদী, নুরুল ইসলাম মানিক, আনিছুজ্জামান শিকদার, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আলেম-ওলামা ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।