ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, নুরুল হক নুরু এই নির্বাচনকে যদি মেনে নেয়। এটা যদি কৌশলের অংশ হয় তবে ঠিক আছে, কিন্তু নীতি নৈতিকতায় এটা ঠিক নেই। বুধবার ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের এডিটরস পিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই আমরা এই ব্যপারে সন্ধিহান ছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের পর বড় একটা নির্বাচন, তা আবার ডাকসু দীর্ঘ ২৮ বছর পর। নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করি। দেখলাম এটা কোনো নির্বাচনই হলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঐতিহ্য তা নষ্ট করে দিলো। সরকারের উপর মহলের নির্দেশে নুরুল হক নুরকে ভিপি বানানো হলো। যদিও সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও এটাই হতো। সরকারের নীতি নির্ধারকরা দেখলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি আবার উত্তপ্ত হয়ে যায়, তবে সরকারের জন্য ফল ভালো নাও হতে পারে। সেই বিবেচনায় সরকার ভিপি পোস্টটা সাধারণ ছাত্রদের প্রতিনিধিকে দিয়ে আপাতত বিষয়টা শান্ত করলো।
তিনি বলেন, নুরুল হক নুরু যদি সরকারের এই ফাঁদে পা দেয় তবে সাধারণ ছাত্রদের দাবিকে অসম্মান করা হবে। কারণ ছাত্রলীগ ছাড়া সবাই এই নির্বাচকে পুনরায় করার জন্য বলেছে। একটা আন্দোলন দানা বাঁধছে, সেখানে নুরুল হক নুরু যদি মেনে নিয়ে আন্দোলন থেকে পিছু হটে তবে তা ঠিক হবে না। এটা সরকারের একটা ফাঁদ।
তবে এটাও ঠিক এটা যদি কৌশলের অংশ হিসেবে নুরু যদি তার ভিপি পদ মেনে নিয়ে, ছাত্র অধিকারের কথা বলতে কাজ করে, তবে ভালো কিছু আশা করা যায়। কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্ন থেকেই যাবে। যেহেতু নির্বাচনটা সঠিক না। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের ফলে একটা বিষয় পরিস্কার হলো বর্তমান সরকারের পক্ষে কেনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। নুরুল হক নুরের বিজয়কে আমি প্রশাসনের একটা খেলার অংশ বলবো, কারণ আমরা যখন কুয়েত মৈত্রী হলে পযবেক্ষণ করতে গেলাম, সেখানে শিক্ষকরা বলেছে এই চুরির দায় আমরা নিতে পারবো না। সেখানের মেয়েরা আমাদের দেখে কেঁদে ফেললো। তারা প্রশাসনের এই নিলজ্জ হস্তক্ষেপের কথা বললো। আমাদের কাছে সিল মারা ব্যলট দেখালো।
এছাড়া আমরা সূর্যসেন হল, এফ রহমান হলো, দেখলাম লাইন জ্যাম করা বুথের মধ্যে বেশি সময় লাগানো, একটি ছেলেকে দেখলাম ২২ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগালো ।