ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ আল নূরে সন্ত্রাসী হামলায় ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। এঘটনায় সারাবিশ্বে বইছে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও।
নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে ট্রুডো বলেন, ‘প্রার্থনার সময় মানুষকে আক্রমণ করা অত্যন্ত বেদনার এবং নিউজিল্যান্ডে আজ যে গুলির ঘটনা ঘটেছে তার কঠোর নিন্দা করছে কানাডা। হতাহত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। নিউজিল্যান্ড এবং বিশ্ব মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতোই আমরা আজ শোকাহত।’
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘সব ধরনের চরমপন্থা ও এ জাতীয় কর্মকাণ্ডসহ বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্স দৃঢ়াবস্থানে। মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে এসব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই কাজ করে থাকে ফ্রান্স।’
তারও আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেন, ‘ভয়ঙ্কর এ হামলার ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের জনগণের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
হামলাটিকে ‘বর্ণবাদী ও ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, ‘দেশের পক্ষে আমি মুসলিম-বিশ্ব ও নিউজিল্যান্ডের জনগণের প্রতি শোক জানাই, যারা কিনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এ কাণ্ডের শিকার হয়েছেন। (এটি) মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা বর্ণবাদ ও ইসলাম-বিদ্বেষেরই সর্বশেষ নজির।’
জুমার নামাজের পর মসজিদ দু’টিতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে চালানো ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। গণহত্যা চালানোর আগে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারী অনলাইনে একটি পোস্ট করে জানায়, সে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী। দখলদারদের (অভিবাসী) ওপর প্রতিশোধ নিতেই সে এই হামলা করেছে। অবশ্য তাকে এবং আরও তিনজনকে আটক করেছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ।