ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক সিদ্দিক ব্যবসায়িক কারনে ডিজিএফআইকে দিয়ে তিন ব্যক্তিকে গুম করিয়েছেন সাক্ষ্য প্রমান সহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত নিউজ মিডিয়া আল-জাজিরা।
আল-জাজিরার এই চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কর্নেল শহিদউদ্দিন খান একসময় তারিক সিদ্দিকের স্ত্রী শাহীন সিদ্দিকের সাথে ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। তারিক সিদ্দিক নিজে ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকলেও তার স্ত্রীর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতেন, যাতে করে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে না হয়। প্রচ্ছায়া নামে একটি লাভজনক কোম্পানীতে মিসেস শহীন সিদ্দিক চেয়ারম্যান এবং কর্নেল শহিদ সিইও ছিলেন। পরে তারিক সিদ্দিকের নির্দেশে ব্যবসাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কর্নেল শহিদ অভিযোগ করেছেন, নয় মাস আগে তিন ব্যক্তি ও এক কর্মচারীকে ডিজিএফআই তুলে নিয়ে যায়, গোপন স্থানে আটকে চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
৪৮ ঘন্টা পরে তাদের ছেড়ে দিলেও গত এপ্রিলে জহিরুল হক খন্দকার, খোরশেদ আলম পাটোয়ারী, এবং সৈয়দ আকিদুল আলী এই তিনজনকে আবার র্যাব দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্নেল শহিদ সহ ঐ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও জঙ্গি মামলা দেয়া হয়, যা ছিল সর্বৈব মিথ্যা।
শেখ হাসিনা সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কর্তা এই তারিক সিদ্দিক। তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। মালয়েশিয়াতে তারিক সিদ্দিক বিশাল মার্কেট কিনেছেন, আরও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের সম্পদ কিনেছেন, যা দেখভাল করে থাকেন তার কাজিন ইকবাল। অনদিকে দেশের বড় বড় ব্যসায়ীদের নিরাপত্তার নামে হাত করে পরে ব্যবসার অংশীদার বনে যান তারিক। এতে গড়বড় করলে কিছুদিন পরে ব্যবসার মালিককে হঠাৎ গুম করে ফেলা হয়।
তারিক সিদ্দিকের এসব অপকর্মের খবর তার ব্যবসায়িক পার্টনার শহিদ জানেন। স্বাভাবিকভাবেই তারিকের এসব গোপন বিষয়দি গোপন রাখতে কর্নেল শহিদকে টার্গেট করেছেন। শহিদ লন্ডনে নির্বাসনে যেতে পারলেও ঢাকাতে ডিওএইচএসে তার বাড়িও অফিস তছনছ করে দলিলপত্র ও গুরুত্বপূর্ন জিনিস তুলে নিয়ে গেছেন তারিক সিদ্দিক। কর্নেল শহিদের ফাটানোর কথা ছিল অবশেষে ফাটালেন।
শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গুম খুনের যে ব্যপক অভিযোগ রয়েছে, যা তারা বরাবরই অস্বীকার করে থাকে। ২০১৬ সালের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে ৯০ ব্যক্তিকে গুম করার রিপোর্ট রয়েছে, যার মধ্যে ২১ জনের লাশ পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এসব গুম খুনের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। কর্নেল শহিদের এই অভিযোগ এবং আলজাজিরার এই প্রতিবেদন এসব অভিযোগকেই প্রমান করছে।
সূত্রঃ আলজাজিরা,নিউজলিংক-https://www.aljazeera.com/…/exclusive-bangladesh-top-securi…