ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পুড়ে যাওয়া ডিএনসিসি মার্কেট ভেঙে আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগর ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহবুুবুল আলম হানিফ।
আজ আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো গুলশান-১ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটে। ঠিক দুই বছর ৩ মাস পর আজ একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় তৎকালীন মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক বলেছিলেন, ডিএনসিসি মার্কেট ভেঙে আধুনিক শপিং মল তৈরি করা হবে।
এবার দ্বিতীয় দফায় অগ্নিকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সস্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ সেটাই পুনর্ব্যক্ত করলেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) গুলশান-১ নম্বর ডিএনসিসি কাঁচাবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই মার্কেটটি ভেঙে আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল করার কথা ছিল। যে কোনো কারণে এটা হয়নি। কিন্তু এখন জনগণের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে এটাকে (ডিএনসিসি মার্কেট) ভেঙে আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল তৈরি করতেই হবে।
মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, কাঁচাবাজারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার দুই পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা আজকেই সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। যেসব ব্যবসায়ী ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তাদের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
এর আগে মার্কেটে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দেন।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় (ঢাকা-১৭) সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার খরব পেয়ে ৫টা ৫৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রথমে ৭টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে ২০টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেটে মূল আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে চারিদিকে অতিরিক্ত ধোয়া ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচতে আশেপাশের দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেস্টা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি একই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই সময় ১৬ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঐ সময় মার্কেটের নিচতলা ও দোতলার মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গিয়েছিল।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর ২২তলা এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছেন। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।