ক্যাপ্টেন(অবঃ) মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের উপকূলে শনিবার সকালেই আঘাত হানতে পারে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি।
তীব্র এবং প্রবল গতি সম্পন্ন ফণী ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের চারটি নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় উপকূলজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যেই ফণীর প্রভাব মোকাবিলায় ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। একইসঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য অধিদফতরের সব শাখা অব্যাহতভাবে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান গতিপথে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার পর বাংলাদেশের খুলনা-সাতক্ষীরা হয়ে রংপুর-দিনাজপুরের দিতে যেতে পারে। আর দিক পরিবর্তন করলে তা খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে।