ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪ হাজার ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, পানি, ৪১ হাজার খাবার পাকেট, প্রতি জেলায় ৫ লাখ করে টাকা দিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, একটা মানুষেরও প্রাণহানী ঘটতে দিতে চায় না সরকার।
ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলায় ৪-৫ ফুটের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ছয় নম্বর ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং পরবর্তীতে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে হয়ে ৩ মে সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৩ মে সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার ভারতের বাহরামপুর-ভুবেনশ্বর উপকূলে আঘাত হানার পর শনিবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। মূলত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এবং চুয়াডাঙ্গায় থাকবে ফণি’র কেন্দ্র। তবে সারাদেশেই তার প্রভাব পড়বে।