ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া আগাম তথ্যের কারণে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দলীয় মনিটরিং সেলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ বিষয়ে তিনি এ দাবি করেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। গত ১০ বছরে তার শাসনামলে সবদিকে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়নের একটি বড় অংশ হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের দুই হাজার কিলোমিটার দূরে শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের খবর আবহাওয়া অধিদফতরের মাধ্যমে সংগ্রহ করছি। আগাম তথ্য আমরা পেয়েছিলাম বলেই সরকার ও দলীয়ভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’
বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তথ্যউপাত্ত নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’তে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমাদের টিম যাবে এবং সরকার ও দলের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’ এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সমন্বয় করে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে বসে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শুক্রবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত মনিটরিং সেলে ১০০টি কল এসেছে। তারা তাদের এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা মনে করেছেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি— বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছিলাম, যারা এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন, তাদের নোংরা ভাষায় কিছু বলা যায় না। তাই অনেকেই তাদের এই বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপের সঙ্গে তুলনা করছেন। বিএনপি আসলে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ছিটকে পড়েছে।’ বিএনপি আজ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত বলেও দাবি করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নিজেদের সমস্যা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচার করে। তারা নানা কথাবার্তা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নিজেদের ব্যর্থতা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।