DMCA.com Protection Status
title="৭

রোজা রেখে যেসব ওষুধ ব্যবহারে রোজা ভঙ্গ হয় না।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ইনহেলার ব্যবহার হয় অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে। এর মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট দূর হয়। ডাক্তারেরা বলেছেন, এতে খাদ্যের অভাব পূরণ হয় না। পানির অভাব পূরণ হয় না। এটি পাকস্থলীতে যায় না। ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছে। এটি গ্যাস বা বাতাস মাত্র।

সাওম বা রোজা রেখে এটি ব্যবহার করা যাবে। রোজা ভাঙে না। পাকস্থলীতে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, জড় পদার্থ গেলে রোজা ভাঙে। বর্তমানে হাঁপানির কিছু ওষুধ বের হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা বা ১২ ঘণ্টা পর পর ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে সেহরির আগে বা ইফতারের পর খাওয়া যাবে।

 

রোজা রেখে ইনসুলিন ব্যবহার কি বৈধ?
ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয়ের প্রধান হরমোন। এক ধরনের পলিপ্যাপটাইড, যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। এর কাজ হচ্ছে গ্লুকোজ ভেঙে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে বিতরণ করা। 
সাওম বা রোজা রেখে এটি নিতে পারবেন। রোজা ভাঙবে না। কারণ, এটি পাকস্থলীতে যায় না। খাদ্য নয়।অবশ্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি ইনসুলিন আছে, সেহরির আগে নিলে আর সারা দিন নেয়া লাগে না।

 

রোজা রেখে সাপোজিটর ব্যবহার কি বৈধ?


জ্বরের জন্য এটি ব্যবহার হয়। অনেক সময় পেটের মল সহজে বের করার জন্য সাপোজিটর ব্যবহার হয়। 
সাপোজিটর ব্যবহারে সাওম বা রোজা ভাঙে না। কারণ, এটি ওষুধ; খাদ্য নয়। 
এটি পাকস্থলীতে নেয়া হয় না। পাকস্থলীতে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, খাদ্য নয় এমন কিছু নিলেও রোজা ভাঙে।

 

রোজা রেখে ইনজেকশন ব্যবহার কি বৈধ?


সাওম বা রোজা রেখে দিনের বেলা শরীরের যেকোনো অংশে রোগের কারণে ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে না। তবে যদি এ ইনজেকশন খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে, পুষ্টি সরবরাহ করে, শক্তি বৃদ্ধি করে তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। পাকস্থলীতে দেয়া হলে রোজা ভেঙে যাবে।

 সূত্রঃদৈনিক নয়া দিগন্ত।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!