শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদঃ
অর্থনৈতিক ভাবে অতি সৎ একজন মানুষের দেখা পেয়ে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত হলো। মূল কারন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এই ধরনের মানুষ তারা আগে দেখেনি।
প্রচার মাধ্যমে তার সততার গল্প প্রকাশ পেতে থাকলো। যেমন, উনি যখন বিদেশ যান তখন আলাদা বিমানে যান না। সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে যান। বিমানে খাবার খান না। টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার নিয়ে যান।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করতে শুরু করলো অনেকদিন পর তারা এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছে যিনি সৎ। নিজের জন্য কিংবা নিজের আত্মীয়স্বজনের জন্য টাকা পয়সা লুটপাটের চিন্তা তার মাথায় নেই। বরং তার মাথায় আছে দেশের জন্য চিন্তা।
জিয়া মানুষটা সৎ ছিলেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। লোক দেখানো সৎ না, আসলেই সৎ।
তিনি খাল কেটে দেশ বদলাতে চান। বুদ্ধিজীবী এবং কবি সাহিত্যিকরা জিয়াকে বিশেষ করে, তার খালকাটা প্রকল্পকে সমর্থন জানালেন। কবি শামসুর রাহমানকেও এক খালকাটা উৎসবে লাল টাই পরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলো।
জিয়াউর রাহমান বিদেশে বেশকিছু ভাল বন্ধু পেলেন। যেমন, সৌদি আরবের বাদশাহ। বাদশার নিমন্ত্রনে জিয়া একবার সৌদি আরব গেলেন। সঙ্গে করে বাদশার জন্য উপহার হিসেবে পাঁচ শ' নিমগাছের চারা নিয়ে গেলেন। ব্যাতিক্রমী এই উপহার দেখে বাদশাহ অবাক এবং আনন্দিত হলেন। বিশেষ তত্ত্বাবধানে পাঁচ শ' চারা লাগানো হলো। সৌদি আরবের জন্য গাছগুলো আশীর্বাদের মতো হলো। গাছগুলো ধূসর মরুভুমিতে নিয়ে এল সবুজের মায়া। সৌদি আরবের নিম গাছের নাম হয়ে গেলো জিয়া গাছ।
সূত্রঃ হুমায়ুন আহমেদ, দেয়াল উপন্যাস, পৃষ্ঠা- ১৯৩,১৯৪।