ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের চাঞ্চল্যকর বালিশ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের কেউ নন, তিনি অতিতে ছাত্রদল করতেন বলে সংসদে জানিয়েছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ সম্পূরক বাজেটে অর্থবছরের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় খাতে দাবির বিষয়ে সংসদ সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের উপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের অর্থের বেশি অর্থ দেওয়ার দাবিটি প্রধানমন্ত্রী উপস্থাপন করেন।
সংসদ সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্য শেষে মন্ত্রীর পক্ষে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কারণে সম্পূরক অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে সেটা হলো ঐতিহাসিক ভবন, সরকারি ভবন সংরক্ষণ, কুড়িলে ১শ ফুট খাল খনন হচ্ছে। শেষ হলে বহুমুখী-চমৎকার রাস্তা করা হবে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য এই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বালিশ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তার কিছু পরিচয় পেয়েছি। এক সময়ে তিনি বুয়েট ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। জন্ম থেকেই দুর্নীতি তাদের চরিত্রে আছে। এ কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মোস্তাকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়েছিলেন।
এমপিদের একাধিকবার প্লট দাবি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতবার এমপি হবে, ততবার প্লট বরাদ্দ দিতে হবে ,এটা কেন কথা। আমি সাতবারের এমপি, কিন্তু একবারও প্লট পাইনি। একবারই একটি বুলেট প্রুফ গাড়ি কিনে দিয়েছিল আমার দল। দল সেদিন এই গাড়িটি কিনে দিয়েছিল বলেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। কাজেই প্রতিবার প্লট পেতে হবে এটা ঠিক না। আবার স্বামী এমপি হলে প্লট পাবে, স্ত্রী এমপি হলে প্লট পাবে। এটা ঠিক না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের আগে দীর্ঘদিন যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, তারা জঞ্জাল ছড়িয়ে রেখে গেছেন। আমরা সেগুলো ঠিক করছি। দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো ভুয়া প্রমাণ হয়েছে। বনানীর ভবন অগ্নিকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এই ভবনের মালিক কিন্তু বিএনপি ঘরানার লোক। রাজধানীর লেকগুলো প্রথমে জিয়া, তারপর এরশাদ ও খালেদা জিয়া ভরাট করে। ঢাকা একটি পুরনো শহর। ঢাকাকে তিলোত্তমা শহর করে দেওয়া সম্ভব না। তারপরেও যতটুকু সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি।