ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘এই বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গি বা এসব হত্যা-খুনের রাজনীতির শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময়েই ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি।’
শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে ব্যর্থ বলার সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আমরা বারবারই বলেছি, আমাদের সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস, নাশকতা, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা পৃথিবীর সব বড় বড় আধুনিক রাষ্ট্রেও হয়ে থাকে। বিশ্বকে নেতৃত্বদানকারী আমেরিকাতেও স্কুলে ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয়, এরকম ঘটনা দেখছি। নাইট ক্লাবে গুলি করে হত্যা দেখেছি। তার মানে কি সরকার ব্যর্থ?’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকার ব্যর্থ, এমন কথা বিএনপির মুখে মানায় না। কারণ তারা ক্ষমতায় থাকতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, জেএমবি তাদের সশস্ত্র মহড়া প্রকাশ্যে রাজপথে অস্ত্রসহ পুলিশ প্রটেকশনে করেছিল। সন্ত্রাসকে মদত দিয়েছিল এবং নার্সিং করেছিল বিএনপি। এই বিএনপির মুখে হাসিনা সরকারের ব্যর্থতার কথা মানায় না।’
সম্প্রতি স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে নতুন করে ওঠা বিতর্ক প্রসঙ্গে মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যরা আবারও বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। আমরা আগেও বলেছি, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পাঠক। ওই সময় একজন সামরিক কর্মকর্তাকে জোর করে নিয়ে এ ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। তিনি তিন নম্বর পাঠক।’