ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ ক্রমেই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচনে সরকার অস্ত্রের মুখে জনগণের অধিকার হরণ করেছে।’ তাই রাষ্ট্রের ওপর তাদের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্রমে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাওয়া বাংলাদেশে চরম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংকট বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘সবাই মনে করেন, চলমান সংকট থেকে উত্তরণে গণতন্ত্রের জন্য যিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, সেই খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক কারণে বন্দিদের মুক্তি এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠনই একমাত্র পথ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের সভায় বরগুনায় গত ২৬ জুন প্রকাশ্যে রিফাত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়।
সাম্প্রতিককালে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সরকারের সর্বাত্মক ব্যর্থতা ও উদাসিনতার পরিচয় দিচ্ছে বলে আমরা মনে করি। কারণ, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়; তাদের কোনও জবাবদিহি নেই।’
মির্জা ফখরুল জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করতে অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠক।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৪ সপ্তাহের কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বিএনপির। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার কাজ করছি। ৪ সপ্তাহের মধ্যে দেবো।’
ছাত্রদলের সংকট সমাধানে স্থায়ী কমিটির কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ছাত্রদল নিয়ে বিএনপির যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রয়েছেন তারাই এর সমাধান নিয়ে আপনাদের জানাবেন।’
জিয়াউর রহমানের কবর সরানো প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি এই ধরনের কথা প্রায়ই বলেন। আমার মনে করি, তাদের যে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা, এসব কথা তারই বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনও রাজনৈতিক চিন্তা বলেও আমরা মনে করি না।’
স্থায়ী কমিটির বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ।