ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, যারা ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখে তাদের পরিণতি ইতিহাসের বিভিন্ন জায়গায় যেমন হয়েছে, আপনার পরিণতিও তেমনই হবে।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রফেসর এমাজউদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মানুষ যতটুকু অর্জন করেছে তা থেকে একটুও এগোয়নি বরং পিছিয়েছে। এবারের নির্বাচনকে ৩০ ডিসেম্বর না বলে ২৯ ডিসেম্বর বলাই ভালো। এবার নির্বাচনের নামে যে মস্ত বড় প্রহসন ঘটেছিল জাতি তা দেখেছে। সেদিন এক দুঃস্বপ্ন জাতি দেখেছে। আপনি অনেক চালাক। আপনার যতটুকু বুদ্ধিমত্তা আছে তা দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি
করুন।
আপনার ন্যায়নীতি যতটুকু আছে, তা দিয়ে সাধারণ মানুষের চাওয়ার পাওয়ার দিকে অগ্রসর হন।
খালেদা জিয়ার বন্দিদশা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি দুই কোটি টাকাকে কেন্দ্র করে বেগম জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। ওই দুই কোটি টাকার একটি টাকাও অপচয় হয়নি। বরং এই টাকা বেড়ে সাত কোটি হয়েছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা যারা মেরেছে তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চলছেন। এ ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে জাতিকে মুক্তি দিন।
সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশে ন্যায়বিচার আজ ভূলুণ্ঠিত। মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম, নির্যাতন করা হচ্ছে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনজীবীদের দায়িত্ব রয়েছে। খালেদা জিয়ার নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশে একটা বড় গণ বিষ্ফোরণ হবে। সেই বিষ্ফোরণে সরকারের পতন হবে। আজকের অনশন সারা বাংলার মানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন। আমি দাবি জানাই, খালেদা জিয়ার সকল মামলা স্থগিত করা হোক এবং তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
মানববন্ধনে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি, আইনজীবী আন্দোলন’ এর সভাপতি অ্যাড তৈমুর আলম খন্দকার এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, অ্যাড গিয়াস উদ্দীন আহমেদ,
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।