DMCA.com Protection Status
title="৭

আজ থেকে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নতুন আন্দোলনের সূচনা : মির্জা ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বরিশালের বিভাগীয় বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে আজ থেকেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তি জন্য নতুন আন্দোলনের সূচনা হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যে মামলা দিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে। যে মামলার কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের মানুষ অবিলম্বে তার মুক্তি চায়। আমারা সবদিক থেকে চেষ্টা করছি কিন্তু আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন ঘুরে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের নতুন আন্দোলনের সূচনা বরিশাল থেকেই শুরু হয়েছে আজ।’

 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বরিশাল মহানগরের কেন্দ্রীয় হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিন শুধু হত্যা আর হত্যা। এমনকি আদালত পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না। সেটাও নিরাপদ জায়গা নয়। সেখানে গিয়ে বিচারকের সামনে হত্যা করা হচ্ছে। কোথায় যাবেন? কার কাছে যাবেন? সরকার খুব ঢোল বাজায়, নিজেরাই বাজাচ্ছে উন্নয়ন, উন্নয়ন, উন্নয়ন। এমন উন্নয়ন যে, দেশের মানুষ মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ কৃষক তার ধানের মূল্য পায় না, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে। সরকার তাদের ওপর ভর করে এ দেশের জনগণের বঞ্চিত করে দেশ শাসন করতে চায়।’

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা নজিরবিহীন। এই সময়ে আমাদের কত নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন, গুম হয়েছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা অপেক্ষায় রয়েছেন যে ফিরে আসবে হয়তো। কিন্তু সেই স্বামী, বাবা কিংবা সন্তান তো আর ফিরে আসে না। রাষ্ট্র আজ বসবাসের অনুপযোগী করে রাখা হয়েছে।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গোটা দেশে ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। হাজার হাজার কথিত মামলায় বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী আসামি। গুম হয়েছেন এক হাজার নেতাকর্মী। সরকার দেশকে বসবাসের অনুপযোগী করে ফেলেছে।’


তিনি আরও বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করেছি। কিন্তু এটাতো সত্য যে, তার সরকারের আমলেই এ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। তার আমলে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন, ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে। এদেশের গণতন্ত্র নষ্ট করা হয়েছে। সেই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমরাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আজ আওয়ামী লীগ তাদের পাশেই রয়েছে। অথচ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যে নারী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে বন্দি ছিলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ করে গেছেন, সুখে-দুঃখে দেশের মানুষের জন্য ভেবেছেন, কাজ করেছেন আজ তিনিই জেলে রয়েছেন।


মির্জা ফকরুল বলেন, সরকার বিচার বিভাগে আজ হস্তক্ষেপ করছে। পুলিশ প্রশাসনকে পকেটে পুরে রেখেছে। লুকোচুরি ও কারসাজির মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। দেশে আজ শিশু থেকে শতবর্ষী নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। খবরের কাগজ খুললেই হত্যা আর হত্যার সংবাদ। আদালতেও কেউ নিরাপদ নয়, বিচারকের সামনেই হামলার শিকার হতে হচ্ছে।


বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত আছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!