ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দিন দিন দেশে ভুয়া চিকিৎসকদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। প্রায়সই শোনা যায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া চিকিৎসক আটক। যারা কখনও মেডিকেল পড়েনি,অথচ মানুষকে ঠকানোর জন্য মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে বনে যাচ্ছে ডাক্তার।
গত বুধবার রাজধানীর ধোলাইপাড়ে কিউর জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটরে এক রোগীর অপারেশন করার সময় এসএসসি ও এইচএসসি পাস করা দুই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে র্যাব।
রাত ৩টায় তাদের আটক করা হয়। এইচএসসি পাস ব্যক্তির নাম আল মাহমুদ। আর এসএসসি পাস নারী ওই হাসপাতালের মালিক। তার নাম রহিমা। এই জনই নিজেদের ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে আসতেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, আল মাহমুদ নামে ওই ব্যক্তি মাত্র এইচএসসি পাস। কিন্ত তিনি নিজেকে এমবিবিএস (এফসিপিএস পার্ট-টু) বলে পরিচয় দেন। এই দুজন ইতোমধ্যে অনেকের অপারেশন করেছেন। বুধবার রাতে কিউর হাসপাতালের সাতজন রোগীর মধ্যে পাঁচজনের অপারেশন করেছিলেন তারা। তিনজনের সিজার আর দুজনের জরায়ু অপসারণ।
গতরাতে অভিযানের সময় দেখা যায়, কোনো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত ছাড়া শাবানা নামে এক রোগীর জরায়ু কেটে ফেলে দেন তারা। অপারেশনের সময়ও থিয়েটারে কোনো বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। ভুয়া এই দুই ডাক্তারই অপারেশন করেন।
অভিযানে এই দুজনকে তাদের অভিজ্ঞতা ও কোথায় পড়াশোনা করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো সদোত্তর দিতে পারেননি। তাই তাদের দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঐদিন মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ওই অভিযানে র্যাবের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায় কিছুদিন আগে এক রোগীর সিজার করার সময় এক নবজাতক মারা যায় হাসপাতালের মালিক এসএসসি পাস রহিমার হাতে তারপরও তিনি তার কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে থাকেন।