ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দেশবিরোধী অসত্য নালিশ দেয়া বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেত্রী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে হাসিনা সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এবং তার দেশে আসতেও কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) জেনেভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যালোচনার সময় নির্যাতনবিরোধী জাতিসংঘের পর্যালোচনা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন আনিসুল হক।
সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিন জাতিসংঘের পর্যালোচনা কমিটির করা প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
১০ বছরে বিনা বিচারে আটক থাকার ঘটনা বর্তমানে কমেছে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের সনদের আলোকে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে বাংলাদেশ। এছাড়া নির্যাতনবিরোধী জাতিসঙ্ঘ কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। ।
বাংলাদেশে ক্রসফায়ার অনেক কমে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনায় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ঐ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাব-পুলিশ কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও অভিযুক্তদের আইনি সহ্য়তার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিচারপতি এস কে সিনহা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এস কে সিনহাকে দুর্নীতির জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারপরও শেখ হাসিনা সরকার সিনিয়র হিসাবে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি ব্যক্তিগত লাভের জন্য অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার্থে তার চাকরীর মেয়াদ থাকা পর্যন্ত সরকার অনিয়মের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা সীমা ছাড়িয়ে যায়।
বিশৃঙ্খলায় উস্কানি দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলমের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আদালতের নির্দেশনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করে। বর্তমানে তিনি মুক্ত।