ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান (অক্টোবর ২৯, ১৯৪১ — আগস্ট ২০, ১৯৭১) বাংলাদেশের একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাঁদেরই একজন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিম পাকিস্তানে বিমান দখল করে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় পাকিস্তানের সীমানার মধ্যে শহীদ হন তিনি।
তাঁকে কবর দেয়া হয়েছিল পাকিস্তানের করাচির মসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের কবরস্তানে এবং কবরে উপরে উল্লেখ ছিল — ‘এটা এক দেশদ্রোহী গাদ্দারের কবর’।
তাঁর পরিবারের সদস্যরা মাত্র একবার সেখানে যাবার অনুমতি পেয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাকিস্তান সফরের উদ্দেশ্য ছিল এই বীরশ্রেষ্ঠের কবর বাংলাদেশে নিয়ে আসা এবং তা স্বাধীনতার ৩৫ বছর পর তা সম্ভব হয়।
জুন ২৪, ২০০৬, মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান হতে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিমান বন্দরে শহীদের দেহাবশেষ গ্রহণ করেন।
তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় জুন ২৫, ২০০৬, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পাশে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।