ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি আমদানির নামে এলো মদ-বিয়ারের বড় চালান। যা ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের এই চালানের ১৯টি কার্টনের ১৮টিতেই মিলেছে মাদকদ্রব্য। এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বন্দর এলাকায়। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আনায় বন্ধ রয়েছে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস। একই সাথে জাহাজে থাকা সব পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এমভি কিউ জি-শান নামে জাহাজটিতে থাকার কথা ক্যাপিটাল মেশিনারিজ। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এসব যন্ত্রপাতির আমদানিকারক চায়না-বাংলাদেশ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী।
তবে চীন থেকে আসা জাহাজটি পরিদর্শনে গিয়ে বুধবার (২৪ জুলাই) প্রাথমিকভাবে ১৯ টি কার্টন খুলে দেখেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ১৮ টিতেই মিলেছে বিদেশি মদ আর বিয়ার। এমন অবস্থায় জাহাজের প্রতিটি কার্টন খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস। এরিমধ্যে জাহাজ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে পণ্য খালাস।
মদ ছাড়াও সেখানে রয়েছে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। কিন্তু চীনের এই প্রতিষ্ঠানটি তার কোন ঘোষণাই দেয়নি। বিদেশী প্রতিষ্ঠানের এমন কাজে বিস্মিত শুল্ক কর্মকর্তারা। আর এসব মালামালের শুল্কায়নের দায়িত্বে থাকা সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানও বলছে, অনিয়মের সমস্ত দায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের। তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য পাওয়া যায়নি আমদানিকদের।
সরকারি প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি করলে যেহেতু শুল্ক রেয়াত পাওয়া যায়, তাই শুল্ক ফাঁকি দিতে মেশিনারিজের আড়ালে মাদকদ্রব্য আনা হয়েছে বলে মনে করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।