ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দিনাজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু ইবনে রজ্জবের বিলাসী ও দামি গাড়ী থেকে ১ হাজার পিস ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র একটি সাহসী আভিযানিক দল।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হওয়ার পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি হওয়ায় কতোয়ালী থানা পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। যদিও রজ্জবের গাড়িটি থানাতেই পরে আছে এখনো। গাড়িটি অবমুক্ত করতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছেন রজ্জব এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ফুলবাড়ি থেকে দিনাজপুর সদরে প্রবেশের সময় কালো কাঁচের পাজেরো গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই মাদক পাওয়া যায়। এরপর দিনাজপুরের বিজিবি সেক্টর কমান্ডার সোহরাব হোসেন মাদক ও গাড়িটি থানায় পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু কোতোয়ালী থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোনো মামলা গ্রহণ করেনি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি হওয়ায় তার গাড়িতে মাদক পাওয়ার বিষয়ে কোনো মামলা কেন এখন হয়নি তা নিয়ে পুরো দিনাজপুর জুড়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এমনকি এত মাদক তার গাড়িতে কিভাবে, কোথা থেকে এসেছে এসব প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
তবে এ প্রতিবেদক সোমবার দুপুরে ইবনে রজ্জবের নম্বরে কল করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে আবু ইবনে রজ্জব স্বীকার করেছেন গাড়িটি তার এবং গাড়িতে যারা ছিলেন তারা নাকি ছাত্রলীগের ছোট ভাই হিসাবে গাড়িটি নিয়েছিল। তবে ভেতরের খবর হচ্ছে রজ্জব বহুদিন ধরেই দিনাজপর মাদক সাম্রাজ্যের অধিপতি হিসাবে কাজ করে সমাজের তরুণদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।