ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা বোয়ালখালীবাসীর প্রাণের দাবি কালুরঘাট বহুমুখী সেতুটি নির্মাণে হাসিনা সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি মনোনিত অন্যতম প্রার্থী জনাব এরশাদ উল্লাহ।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বোয়ালখালী বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বোয়ালখালী, পটিয়া ও কক্সবাজার জেলার সাথে একমাত্র সড়ক ও রেল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল কালুরঘাট সেতু। অথচ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দৃষ্টিতে সেতুটির স্থান নেই।
বৃটিশ আমলে নির্মিত এই সেতুটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। কালুরঘাট সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত ৩০/৪০ হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে পার হয়। তাছাড়া রাত-দিন অসংখ্য ছোট-বড় ভারী যানবাহন চলাচল করে। একমুখী সড়ক হওয়াতে ২/৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। যার কারণে জনসাধারণকে দৈনন্দিন কাজের ও ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের জনসাধারণের জন্য কালুরঘাট সেতুটি ছাড়া অন্য কোন বিকল্প মাধ্যম নেই। তাই কালুরঘাট রেল সেতু বহুমুখী করণ (দুই লাইন বিশিষ্ট) তৈরি করা জরুরি হয়ে পড়েছে এবং এটি বোয়ালখালী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য ও বোয়ালখালী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, বিএনপি নেতা এম এ হাশেম রাজু, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, শওকত উল আলম, শরিফ উদ্দিন খান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, এম ফিরোজ খান, মোহাম্মদ সরওয়ার আলমগীর, আবুল হাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আজগর, জাফর আহম্মেদ, শফিকুল ইসলাম শাহিন, হাজী মোস্তফা কামাল উদ্দিন, হাজী আবুল বশর, মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।