ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর কারও দাবি দাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তারপরও আন্দোলন কেন? এখন আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের ২য় সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি এ দেশের নারীদের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। তার দেখানো পথেই এখন দেশে সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। এ সময় তিনি নারী পাচার রোধে সবাইকে সতর্ক হবার আহ্বান জানান।
বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে বলে জানান, শেখ হাসিনা। এসময় নারী পাচার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান, প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ বেশকিছু দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো বুয়েট ক্যাম্পসে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় বুয়েট শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত হয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন শুরু করেন। অন্যদিকে বুয়েট প্রশাসন ছাত্রদের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে একটি নোটিশ জারি করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বুয়েটের উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের কিছু দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন। অন্যান্য দাবির বিষয়ে আমাদেরকে সঠিকভাবে কোনোকিছু বলা হচ্ছে না। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরদিন থেকে ১০ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে।