ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশিদার বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি ও অবৈধ হাসিনা সরকারর সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, আমি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ যারাই নির্বাচিত হয়েছি- আমাদের দেশের কোনো জনগণ ভোট দেয়নি। কারণ ভোটাররা কেউ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেনি।
শনিবার বরিশালে অশ্বিনী কুমার টাউন হলে আয়োজিত ওয়াকার্স পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাঃ তিনি এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলের এ সভাপতি বলেন, আজ দেশের ভোটাধিকার হরণ করেছে হাসিনা সরকার। সরকার দেশব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল করেছে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে আজ দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে সরকার। তাই কেউ মুখ খুলে মত প্রকাশ করতে পারে না।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিগত সরকারের প্রধান খালেদা জিয়া ও তার হাওয়া ভবনে বসে দুর্নীতি-লুটপাঠ করার কারণে কেউ সাজা ভোগ করছে, অন্যরা পালিয়ে গেছে। বর্তমানে সরকারে থেকে যারা দুর্নীতি-লুটপাটসহ বিদেশে অর্থপাচার করছে তাদের বিচার করবে কে? কে নেবে তাদের অর্থের হিসাব?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ-লুঠেরাদের আড়াল করে যতই শুদ্ধি অভিযান চালান, তাতে কিছুই হবে না।
মেনন বলেন, আমাকে ১৪ দলের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীক দিয়েছে তাদের প্রয়োজনে। আমার মন্ত্রিত্বের জন্য কোনো লোভ নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি সব সময়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছে এবং সব সময় বলে যাবে।
বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে জেলা সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য আনিছুর রহমান মল্লিক।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ টিপু সুলতান, মহানগর আহ্বায়ক শান্তি দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, টিএম শাহজাহান হাওলাদার, আবদুল মান্নান, ফায়জুল হক বালী ফারহিন, সীমা রানী শীল ও শাহিন হোসেন।
প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে তারাই আজ এ দেশের গণতন্ত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এ কারণেই সারা দেশের রাজনীতির অবক্ষয় হয়েছে। যার কারণে দুর্নীতির আসল স্থান নিবৃত্ত রয়েছে। দেশের ৪ কোটি মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমায় বাস করছে। এ সব কৃষক-ক্ষেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য দেশে পেনশন স্কিম চালু করার দাবি জানান তিনি।
পরে জেলা সভাপতি ও জেলা সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতাকর্মীরা লাল পতাকা নিয়ে নগরীতে মিছিল বের করেন।