ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপি নেতাদেরকে আরও সাহসী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেছেন, 'বিএনপির কর্মীরা অনেক সাহসী কিন্তু নেতারা দুর্বল। এদের কেউ কেউ এত পয়সা বানিয়েছে যে, রাজপথে এদের রোদ লাগাতে ইচ্ছে করে না।'
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি 'দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভোলার ঘটনার দ্রুতবিচার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি'তে আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের আর কি নেওয়ার আছে সে বিষয়ে তাদের একটি কমিশন গঠন করা বাকি আছে মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, 'এখন তাদের কমিশন বসাতে হবে এখান থেকে নেওয়ার মতো আর কি আছে। নদীর মাছ ও সাগরের মাছ তারা ধরে নিয়ে যায়। সুন্দরবন ছিল তা পুড়ে যাচ্ছে। তিতাস নদী বন্ধ করে তাদের গাড়ি-ঘোড়া চলাচল করছে। সবকিছুই তারা নিয়ে নিচ্ছে। এই হাসিনা সরকার ভারতের পদলেহী একটা সরকার। আমরা সাহসী সরকার চাই, মধ্যরাতের সরকার আমরা চাই না।'
হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে হাফিজ উদ্দীন বলেন, 'এই সরকার অত্যন্ত দুর্বল সরকার। আপনারা মাঠে নামেন, ইনশাল্লাহ সরকার বিদায় হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনি অনেক বড় মাপের এক নেতার কন্যা। কত সম্মান আপনার জন্য। দেশটাকে আর ধ্বংস করবেন না। আপনি দেশকে ভারতের কোন করদরাজ্য হতে দিবেন না। আপনার বাবাও দেয়নি, আপনিও দিবেন না। আমি বলব আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে পদত্যাগ করেন। জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। সব দলকে ফেয়ার একটা নির্বাচনের সুযোগ দেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আর হত্যা করবেন না।’
হাফিজ আরও বলেন, ‘সেদিন নদীর চুক্তির পূর্ণ ব্যাখ্যা সরকারকে দিতে হবে। এছাড়াও ভোলার বোরহান উদ্দিনে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে যে চারজন নিহত হয়েছে সে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন তিনি।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।