DMCA.com Protection Status
title="৭

দিপক আগারওয়ালের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেও তা আইসিসিকে না বলায় সাকিব আল হাসান ১ বৎসরের জন্য নিষিদ্ধ।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের ক্রিকেট জুয়ারী(বুকার)দিপক আগারওয়ালের কাছ থেকে প্রায় ২বছর পূর্বে পাওয়া বেটিং প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেও তা যথা সময়ে আইসিসিকে না জানানোর অপরাধে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এবং বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।

আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সাকিব এই সাজা মেনেও নিয়েছেন। অপরাধ এবং শাস্তি দুটোই মেনে নেয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকছে না সাকিবের।

তিন বার এই চিন্হিত জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনকে (আকসু) না জানানোয় এই সাজা পেলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকা। তবে এই দিপক আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে আইসিসি তা প্রকাশ না করায় বিশ্ব ব্যাপি ক্রিকেটপ্রেমদের ব্যপক সমালোচনার সম্মুখিন হয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাকিবকে এই সাজা দেওয়ার কথা জানায় আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উল্লেখ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিন বার সাকিবের কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আসে। প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেও  কোনোবারই এ বিষয়ে আইসিসি কিংবা আকসুকে কিছুই জানাননি এই অলরাউন্ডার।

এরমধ্যে আছে ২০১৮ সালের বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে দুইবার ও একই বছর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস এলিভেন পাঞ্জাব ম্যাচে একবার।

এই শাস্তির ফলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন। এর অর্থ হল, আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না সাকিব।

আইসিসির অ্যান্টি করাপশন কোডের আর্টিকেল ২.৪.৪ ধারা অমান্য করায় এ শাস্তি এসে পড়লো সাকিবের কাঁধে। আইসিসির কাছ থেকে এই শাস্তি ঘোষণার পর দু:খপ্রকাশ করেছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার, ‘নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে আমি খুবই মর্মাহত। ক্রিকেট এমন একটা খেলা যা আমি পছন্দ করি। নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে খেলেছি। তবে আমার দায়িত্ব ছিল আইসিসির কাছে বিষয়টি অবহিত করা। আমি তা করতে পারিনি।’ ভবিষ্যতে তরুণ খেলোয়াড়রা যেন এমন ভুল না করে সেজন্য আকসুর সঙ্গে সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহন করতে চান সাকিব, ‘ক্রিকেটের ভক্ত বিশ্বজুড়েই। ক্রিকেট দুর্নীতিমুক্ত করার স্বার্থে আকসুর সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমি যেই ভুল করেছি, তরুণ ক্রিকেটাররা যেন সেই ভুল না করে তাই সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে চাই।’

আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ইতিপূর্বে তিনি আইসিসির বেশকিছু শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেছেন। আইসিসির ধারা সম্পর্কে তার অবগত থাকার থাকা উচিত ছিল। সাকিব তদন্তে সহায়তা করায় আমরা খুশি। তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের এই ভুল থেকে শিক্ষা নেয়াও আহ্বানও জানিয়েছেন।’

আইসিসির দুর্নীতি দমন আইনে, কোন ক্রিকেটার যদি জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর বা স্পট ফিক্সিং এর প্রস্তাব পান তাহলে দ্রুতই তা আকসুর কর্মকর্তাদের জানাতে নয়। না জানালে সেট শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। যার সাজা ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!