ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলা করেছেন ছাত্রলীগের আগ্নেয়াস্ত্রধারী নেতাকর্মীরা।
এতে নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
হামলার এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারীদের দিকে পিস্তল উচিঁয়ে ছাত্র- শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বাসভবন অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার সকালে তাদের কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার সময় পুলিশ ও ভিসিপন্থী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
হামলায় নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০-৩৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দুপুর ১ টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষকরা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। তবে হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষার্থীরা সরে যেতে বাধ্য হন।
এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে চলমান অবরোধে টানা ১০ দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ভিসির বাসভবন অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় জাবি ভিসি বাসাতেই ছিলেন।
উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তার বাসভবন অবরুদ্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক রায়হান রাইন।
গত ২৪ অক্টোবর থেকে সোমবার পর্যন্ত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা টানা ১০ দিনের মতো নতুন ও পুরনো দুইটি প্রশাসনিক ভবনই অবরোধ করে রেখেছে।
ফলে এই ১০ দিন ভিসি, দুই প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে একাডেমিক কার্যক্রম অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে নতুন করে অবরোধের আওতায় এসেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস। এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জটিলতা ও স্থবিরতা তৈরি হচ্ছে।