ক্যাপ্টেন (অবঃ)মারুফ রাজুঃ গত ১১ই নভেম্বর'১৯,সোমবার সন্ধ্যায় মন্ট্রিয়লে কানাডা বিএনপি এর উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর,জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা সভার অনুষ্ঠানটি প্রবাসী জাতীয়তাবাদীদের এক মহা মিলনমেলায় পরিনত হয় ।
মন্ট্রিয়লের পার্ক এক্সটেনসন্থ প্রখ্যাত বাংলাদেশী রেস্তোরা 'শ্বশুরবাড়ী' তে অনুষ্ঠিত এই সূচারু আয়োজন এবং আলোঝলমল পরিবেশে হল ভরা দর্শকের সমাহার সত্যিই এক অভূতপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি করেছিলো । মৌসুমের প্রথম ভারী তুষারপাত এবং প্রচন্ড ঠান্ডার মাঝেও প্রবাসী জাতীয়তাবাদী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
মন্ট্রিয়লের শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রানিত সৈনিকেরা এই বনাঢ্য আয়োজনে মিলিত হয়েছেন একসাথে , মেতে উঠেছেন ৭ই নভেম্বর ও শহীদ জিয়ার অবদান শির্ষক আলোচনায়,যা আমাদের ভবিষ্যতে অনুপ্রেরনা যোগাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই ।
এই অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কানাডা বিএনপি নেতা ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কানাডা বিএনপি নেতা জনাব নূরনবী রশীদের সূচারু সঞ্চালনায় পরিচালিত হয়। সর্বপরি একদল নিবেদিত প্রান বিএনপি নেতা-কর্মীর নিরলস প্রচেষ্টায় এই মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানটি করা সম্ভব হয়েছে ।
অনুষ্ঠানটিতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কানাডা বিএনপির নিবেদিত প্রান নেতা জনাব এম জয়নাল আবেদীন জামিল।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন শরীফের অংশ বিশেষ থেকে তেলাওয়াত করেন ছোট্টমনি আনিলা রহমান।
এরপর ‘প্রথম বাংলাদেশ,আমার শেষ বাংলাদেশ ‘শির্ষক কালজয়ী গানটি পরিবেশিত হয় ।এ সময় শহীদ জিয়ার অত্যন্ত প্রিয় এই গানটি আবেগের সাথে হলভর্তি সকলে একসাথে গেয়ে উঠেন ।
অনুষ্ঠানটি সাবলীল ভাবে পরিচালনা করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিএনপি নেতা জনাব নূরনবী রশীদ। ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,মরহুম আরাফাত রহমান কোকো এবং সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা সহ এযাবৎ কালে শহীদ বিএনপির সকল নেতা কর্মীদের আত্মার সন্মানার্থে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সর্ব জনাব এজাজ আখতার তৌফিক ,নবী হোসেন ,কামরুল হাসান ফারুক হাওলাদার, ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজু, এম জয়নাল আবেদিন জামিল ,আনসার উদ্দীন আহমেদ , ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজু , নূর নবী রশীদ ,মোস্তাহিদ আহমদ মুকু, আবুল বাসার মানিক , মাহমুদুল ইসলাম সূমন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মন্ট্রিয়লের বিশিষ্ট জনদের মধ্যে স্বপরিবারে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা জনাব আজম ,খলিলুর রহমান , মাহমুদ মিয়া , রেজা আহমেদ ,প্রকৌশলী তফাজ্জল হোসেন পরাগ ,মন্টু মিয়া ,জনাব মোহাম্মদ শহীদউল্লাহ ,মোঃআলামিন খান , জামালউদ্দীন ,মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান খান , মোঃ মহিউদ্দীন ,রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তাদের আলোচনায় বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও নীতি হৃদয়ে ধারন করে দেশসেবায় মনোনিবেশে গুরুত্ব আরোপ করেন । তারা বলেন ৭ই নভেম্বরে জিয়া যদি হাল না ধরতেন তবে বাংলাদেশ আর স্বাধীন থাকতো কিনা সন্দেহ । তারা ৭ই নভেম্বরকে বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতা দিবস আখ্যায়িত করেন।
তারা আরও বলেন ,শহীদ জিয়ার সৈনিকদের যে কোন অবস্থাতে ঐক্যের বাধনে আবদ্ধ থাকার চেষ্টা করতেই হবে । আমাদের মধ্যে বিভেদ পক্ষান্তরে আওয়ামী বাকশালীদের হাতকেই শক্তিশালী করবে নিঃসন্দেহে ।
বক্তারা অবিলম্বে তীব্র গন-আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে অন্যায় কারাবাস থেকে মুক্ত করে দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জোর দাবী জানান।
বাংলাদেশের গনপন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে প্রবাসের নেতাকর্মীদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পদ ও পদবীর চিন্তা না করে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করার অঙ্গিকার করেন বিএনপি নেতাগন।
উপস্থিত বক্তারা বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বরের জাতীয় ছুটি বাতিলের তীব্র নিন্দা জানান এবং ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই ছুটি আবার বহাল করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন ।
তারা বলেন ,বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ জিয়া ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক । বক্তারা বাংলাদেশের বর্তমান অসহনী গনতন্ত্রহীন পরিবেশ থেকে উত্তরনে কানাডা থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জনমত গড়ে তোলায় কাজ করে যাবার অঙ্গিকার করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন ৭ই নভেম্বর উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিএনপি নেতা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নূরনবী রশীদ।
সবশেষে সমাপনী বক্তব্যে উপস্হিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ৭ই নভেম্বর উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও বিএনপি নেতা ক্যাপ্টেন।(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজু।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিদের মুখরোচক রাতের খাবার পরিবেশন করা হয় ।