DMCA.com Protection Status
title="৭

খালেদা জিয়ার আপিলের ফুল কোর্ট শুনানি ২৫ নভেম্বরঃঐদিন জামিনের সম্ভাবনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন না মন্জুর করে দেয়া হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের ওপর আগামী ২৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের ফুলকোর্ট শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রোববার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এর আদালত শুনানির এ দিন ধার্য করেন আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন। এসময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, জামিল আক্তার এলাহী, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মনির হোসেন, মির্জা আল মাহমুদ, জুলফিকার আলী জুনু, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। জামিন আবেদনে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়েছে। আপিল নম্বর ১৬৭৭। এর আগে গত ৩১ জুলাই দুর্নীতির মামলায় অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়াকে তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। উনি গুরুতর অসুস্থ। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!