ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আগামী বছরের ৪ মার্চ পর্যন্ত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে ও আসামির সম্পৃক্ততা বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ নিয়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ গত ৭ বছরে ৬৯ বার পেছাল।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আসাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের পর জামিনে থাকা তানভীর রহমানকে নিম্ন আদালতে এ মামলায় হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলেন তানভীর রহমান। তানভীর নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির বন্ধু ছিলেন।
আজ মামলার শুনানিতে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।দেশ কাপানো এই হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন গনমাধ্যমে বলেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই খুনীদের গ্রেফতার করা হবে।
ঐসময় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।