ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্প্রতি পদ্মা নদী দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে অবৈধ ভাবে মৎস্য আরোহন কারী ভারতীয় জেলেদের ছাড়িয়ে নিতে এসে বিজিবি’র গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক জওয়ান। এ ঘটনায় দুই দেশের বৈঠকের পর অভিযুক্ত বিজিবি সদস্যকে কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে বিএসএফ ডিআইজি এস এস গুলেরিয়ার বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, এ ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি‘র ডিআইজি ও সেক্টর বিজিবি কর্মকর্তাকেও সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া প্রকৃত বিষয় অনুসন্ধানে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছে বিএসএফও।
গতকাল ১ ডিসেম্বর, রবিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার দক্ষিণেশ্বরে পালিত হয় বিএসএফের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সেখানে প্রশ্নের উত্তরে বিএসএফের ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া এসব তথ্য জানান।
গুলেরিয়া বলেন, ‘গত অক্টোবর মাসে বিএসএফের উপর বাংলাদেশের বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)—র এক হাবিলদারের গুলি চালানোর ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রম বলা চলে। কারণ, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এই ক্ষেত্রে হয়তো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই ধরনের ঘটনা যদি আবার ঘটে, তাহলে কিন্তু বিএসএফের রণনীতিও তৈরি রয়েছে। কারণ বিএসএফও কারো চেয়ে কম নয়।’
আগামী কিছুদিনের মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর ডিজি বৈঠকে বসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ও বিজিবির ডিজিদের বৈঠকে এই গুলি চালানোর প্রসঙ্গটি উঠে আসবে।’
গত অক্টোবরে মুর্শিদাবাদের কয়েক জেলেকে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরতে দেখে তাদের আটক করে বিজিবি। এক জেলেকে আটকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয় বিজিবি। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ছেড়ে দেয়া জেলেরা গিয়ে বিএসএফ সদস্যদের বিষয়টি জানালে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলেই এসেই গালাগালি শুরু করে। বিজিবি এর প্রতিবাদ করলে তারা গুলি ছোড়ে। তখন বিজিবির পক্ষ থেকেও গুলি ছোড়া হয়। একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটে।
এসময় গুলিতে নিহত হন বিজয় ভান সিং (৫০) নামের বিএসএফ ডিআইবি। আহত হন এক জন। এ ঘটনার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরপর দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্তাদের মধ্যে ২২ অক্টোবর প্রথম বৈঠক ও ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।