ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে যে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা হাসিনা সরকার করেনি ,এই তালিকা তৎকালীন হানাদার পাকিস্তানী সরকার করেছিলো বলে জানিয়েছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার প্রকাশিত এই তালিকায় রয়েছে বরিশালের বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী এবং ঠাকুমা উষা রানি চক্রবর্তীর নাম। আরও রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুর!
বিষয়টি নিয়ে যখন দেশব্যাপী তীব্র বিতর্ক ছড়াচ্ছে, তখন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বললেন, ‘রাজাকারের তালিকাটি পাকিস্তানিরা করেছে।’
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না। আর যদি আসেও সেটা পাকিস্তানি বাহিনীর ভুল। যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রথম প্রকাশিত তালিকার অধিকাংশ ( ৮ হাজারের অধিক) আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী হওয়ায় দেশ ব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।