ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালিন প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার সময় দলীয় নেতাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়ে থাকলো ৩২ নম্বরের সিড়িতে ! কেন? সেই উত্তর আমি এখনো পাইনি। এত বড় সংগঠন, এত নেতা কোথায় ছিলো? মাঝেমধ্যে আমার এটা খুব জানতে ইচ্ছে করে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
১৫ আগস্ট দেশের বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেদিনের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘এত বড় একটা ঘটনা, বাংলাদেশের কি কোনো লোক জানতে পারলো না? কেউ কোনো পদক্ষেপ নিল না কেন!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার সাধারণ মানুষ তো বঙ্গবন্ধু মুজিবের সঙ্গে ছিল। কেউ সাহসে ভর দিয়ে এগিয়ে আসতে পারলো না। হয়তো এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে এই জাতিকে।’
''আমাদের দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলছিলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।''
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, শুধু তাকে একা নয়, আমাদের পরিবারের সব সদস্যসহ আত্মীয়, পরিবার-পরিজন। একইসঙ্গে আমার মেজো ফুফু, সেজো ফুফু, ছোট ফুফুর বাড়ি সব বাড়িতেই তারা হানা দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর দেশের অবস্থার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর বারবার ক্যু হয়েছে, ১৮-১৯টা ক্যু হয়েছে এদেশে। অত্যাচার-নির্যাতন চলেছে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। সে সময় যদি কেউ সাহস করে দাঁড়াতো তাহলে তো এত অত্যাচার হতো না। বারবার ক্যু হতো না।’
দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শত বাধা-ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে, শিশু মৃত্যুহার কমেছে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।’