ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বহুল সমালোচিত ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে নজীর বিহীন বিক্ষোভের মধ্যেই জনসভা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তিনি মুসলিমদের শান্ত থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস আর শহুরে নকশালরা গুজব ছড়াচ্ছে, মুসলিমদের নাকি ধরে ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এটি সম্পূর্ণ গুজব।
রোববার রামলীলা ময়দানে জনসভা তিনি এ সব কথা বলেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন বিরোধীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেইক ভিডিও তৈরি করেও অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিএএ কোনো ভারতবাসীর জন্য নয়। তা তিনি হিন্দু হোন বা মুসলিম। আমরা তো এনআরসি তৈরিই করিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আসামে এনআরসি হয়েছে। দেশের যুবসমাজ আইনটা পড়ুন বুঝতে পারবেন। কোনো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না।
মোদি বলেন, আমি গরিবের জন্য কাজ করা মানুষ, যা করেছি সেখানে কোনো বৈষম্য দেখিনি। কার কী ধর্ম, কী জাত, কবে কোথা থেকে এসেছেন এ সব কিছুই জানতে চাইনি।
বিক্ষোভ নিয়ে বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে মোদি বলেন, মিথ্যা প্রচার করে বিরোধীরা বিশ্বের কাছে ভারতের বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ভারতের সংসদকে অসম্মান করছে বিরোধীরা। এ সময় উপস্থিত জনতাকে উঠে দাঁড়িয়ে ভারতের সংসদ সদস্যদের সম্মান জানাতে আহ্বান করেন।
বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আপনারা মোদিকে গালি দিন। মোদিকে ঘৃণা করুন। যত খুশি জুতা মারুন। কিন্তু দেশের সম্পত্তি, গরিবের অটো, দুঃস্থদের ঘর জ্বালাবেন না।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, সংসদে এক সময় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর আর শরণার্থীদের জায়গা দিতে বলতেন। আজ পৌঁছে গেছেন রাষ্ট্রসংঘে! দিদি, এখন কী হয়েছে আপনার? কেন বদলে গিয়েছেন? নির্বাচন আসে-যায়, বাংলার মানুষকে ভরসা করুন। বাংলার বাসিন্দাদের আপনি শত্রু ভেবে ফেলেছেন।
বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের গুলিতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু কিংবা জামিয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেননি নরেন্দ্র মোদি। তিনি বিরোধীদের শাসিয়ে বলেন, মানুষকে মিথ্যা বুঝালে তার জবাব পাবে বিরোধীরা।