ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও জাতীয় অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)।
শনিবার রাত তিনটার দিকে রাজধানীর এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে ব্রেন স্ট্রোক করলে গত ৯ তারিখে তাকে ওই হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিলো এই নিরাপত্তা বিশ্লেষকের।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের ছেলে সাদিদ মুনির তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে অধ্যাপক মনিরুজ্জামানকে গাজিপুরের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
তালুকদার মনিরুজ্জমানের জন্ম সিরাজগঞ্জের তারাকান্দি গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১লা জুলাই। পিতা আবদুল মজিদ তালুকদার ছিলেন স্কুলশিক্ষক। কৈশোর কেটেছে গ্রামেই।
ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন তারাকান্দি মাইনর স্কুলে। এরপর ভর্তি হন সিরাজগঞ্জ হাইস্কুলে। এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হন। এইচএসসিতে মেধাতালিকায় প্রথম হন।
১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। অনার্সে প্রথম শ্রেণি এবং মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণি লাভ করেন। বৃত্তি নিয়ে ১৯৬৩ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য চলে যান কানাডায়। পড়াশোনা করেন কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে।
১৯৬৬ সালে দেশে ফিরে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বছরই বিয়ে করেন একই বিভাগের ছাত্রী রাজিয়া আক্তার বানুকে। প্রায় সাত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে ১৯৭৪ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন ২০০৬ সালে।
এর আগে তাকে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষণা করা হয়। তিনি বই লিখেছেন নয়টি। আটটি ইংরেজিতে, একটি বাংলায়। অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক।