ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানী সমরনায়ক জেনারেল সোলাইমানিকে শেষ বিদায় জানাতে তার জন্মস্থান আহবাজ শহরে ঢল নেমেছে লাখো মানুষের। ইরানের আহভাজ শহরে এত মানুষ এর আগে কখনো দেখা যায় নি। কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃতদেহ ইরানে পৌঁছানোর আগে থেকেই গ্রাম, শহর সর্বত্র শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
এদিকে ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।আজ রোববার খুব সকালে ইরাক থেকে তার মৃতদেহ ইরানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বাধভাঙা ঢল নামে রাজপথে। শোকার্ত এসব মানুষ কালো পোশাক পরা। হাতে ধরেছেন সবুজ, সাদা আর লাল রঙের পতাকা। শহীদের রক্তের রঙকে বুঝানোর জন্য এমন রং ব্যবহার করা হয়েছে।
বাকিদের হাতে নিহত সোলাইমারির পোট্রেট ছবি। মানুষে মানুষে এতটা গাদাগাদি যে তাদের তিল ধারণের ঠাঁই হচ্ছিল না। এ খবর দিয়েছে ইরানের অনলাইন তেহরান টাইমস।
এতে বলা হয়, আজ রোববার সোলাইমানের মৃতদেহ ইরানে গিয়ে পৌঁছে। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আহভাজে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় সোলাইমানি, ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ইরাকি পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের উপ কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহানদিস সহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। তাদের মৃত্যুতে শনিবার ইরাকে একই রকম বিশাল শ্রদ্ধা জানানো হয়।